‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও কবির বিদ্রোহী সত্তা
শ্যামসুন্দর দেবনাথ
ছবি : ইন্টারনেটদীর্ঘ দিনের দাসত্বশৃংখলে আবদ্ধ, পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়া জাতিকে শোষণ-লাঞ্ছনা-বঞ্চনা-নিপীড়ন ও দুঃশাসনের নাগপাশ থেকে পরিত্রাণ করতে গর্জে উঠলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতায়—
বল উন্নত মম শির!
……………
……………
আমি চির-বিদ্রোহী বীর--
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত-শির।”
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ছন্দ সরস্বতীর বরপুত্র’ হিসেবে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আখ্যায়িত করেছেন। নজরুলের মুখে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা পাঠ শুনে বিশ্বকবি আশীর্বাদ করে বলেছেন, “তুমি যে বিশ্ববিখ্যাত কবি হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”
‘বিদ্রোহী’র প্রতিটি স্তবক, প্রতিটি পংক্তি, প্রতিটি শব্দে শরীরের প্রতিটি রক্তকণা উজ্জীবিত হয়ে ওঠে, বজ্রনিনাদে প্রকম্পিত হয়ে হৃদয়তন্ত্রী ও বিবেকবোধে ঘোর কাটে, তন্দ্রাবিষ্ট অবসাদগ্রস্ত যুবশক্তি তথা জাতি-সমাজকে অপ্রতিরুদ্ধ ধারায় ঊর্মিমালার ঝনাৎঝনাৎ আওয়াজ তোলে-অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, নিপীড়ন নানাবিধ সামাজিক অসংগতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধ। অগ্নিবীণা’র ‘বিদ্রোহী’তে কবি যেমন রুদ্রমূর্তিতে জেগেছেন, তেমনি মধ্যম পুরুষকেও জাগিয়েছেন অগ্নিঝরা কণ্ঠে কাব্যিক আহ্বানে।
মানবশিশুর জন্মকালীন যেমন সূতিকাগার আবশ্যক, তেমন কবিতা সৃষ্টিরও আঁতুড়ঘর অবধারিত। আর সে কবিতাটি যদি জাতীয় কবির বা বিশ্বখ্যাত কবির আপন সত্তাবাহক ও গণজাগরণে আলোড়ন সৃষ্টিকারী, মুক্তির বীজমন্ত্র বহনকারী হয়ে থাকে, তবে সে কবিতার আঁতুড়ঘর অনুসন্ধান কাব্যানুরাগী, সাহিত্যিক বা গবেষককে তাড়া দেয়। বাংলাদেশের জাতীয় কবি, বিশ্বখ্যাত বিদ্রোহী কবি, সাম্যের কবি, চিরযৌবনের প্রতীক, কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত আলোড়নকারী কবিতা ‘বিদ্রোহী’র জন্ম কলকাতা তালতলা লেনের ৩/৪ সি, বাড়ি। বাঁধনহারা কবিমনের প্রথম উদ্দাম-উচ্ছ্বাস ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি রচিত হয় এ বাড়িতেই। এ বাড়ির কোনো এক অন্ধকার কক্ষে লণ্ঠনের মিটিমিটি আলোয় সিসৃক্ষু কবি তাঁর কাব্যচিন্তার ভ্রুণটি কলম বা পেন্সিলের মাধ্যমে বর্ণমালায় শব্দ গেঁথে সাদা পৃষ্ঠায় গর্ভমোচন করলেন—ভূমিষ্ঠ হলো ‘বিদ্রোহী’—সুতীব্রকণ্ঠে উদ্ধত উচ্চারণে—
“বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
……………
……………
আমি চির-বিদ্রোহী বীর--
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত-শির।”
কমরেড মুজাফফর আহমদের স্মৃতিকথা মতে, এ পুরো বাড়ি পশ্চিমগাঁর নওয়াব ফয়জুন্নিসা চৌধুরাণীর নাতিরা ভাড়া নিয়েছিল। নীচতলার দক্ষিণ-পূর্ব ঘরটিতে নজরুল ইসলাম আর মুজাফফর আহমদ ভাড়া থাকতেন। এ ঘরেই ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির জন্ম। খুব সম্ভব শেষ রাতে। কেননা রাত দশটায় মুজাফফর আহমদ ঘুমিয়ে পড়েন। তাঁর মতে, নজরুল গভীর রাত্রে সজাগ থেকে লিখলে খুব সকালে উঠতে পারতেন না। খুব সকালেই মুজাফফর আহমেদ ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে বসেছেন, তখনই নজরুল তাঁর লেখা একটি কবিতা বের করে মোজাফফর আহমদকে শোনান। আর এ ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রথম শ্রোতাই হলেন মোজাফফর আহমেদ। কিন্তু কবিতা শোনার পর তিনি স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্যের কারণেই কোনো উচ্ছ্বাস বা কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। মুজাফফর আহমদের উক্তি, নজরুল ১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে কোনো এক শেষ রাতেই ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি পেন্সিলে লিখেছিলেন। কবিতাটি প্রকাশের জন্য নজরুল ‘মোসলেম ভারতে’র সম্পাদক আফজালুল হককে প্রথমে দিয়েছিলেন। একই দিনে আফজালুল হক চলে যাওয়ার পরে ‘বিজলী’ পত্রিকার শ্রী অবিনাশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কবিতাটি শুনে এক কপি নিয়ে যান এবং ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি (২২ শে পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ), শুক্রবার ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি শ্রী নলিনীকান্ত সরকার সম্পাদিত (সাপ্তাহিক) ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম ছাপিয়ে দিলেন। ফলে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশের সম্মান ‘বিজলী’ পত্রিকারই। ‘বিদ্রোহী’ ছাপা হবার পর ‘বিজলী’ সব কপিই অতি দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। ফলে পাঠকদের চাহিদা মেটাতে একই সপ্তাহে ‘বিজলী’ আবারো ছাপানো হয়। দু’দফায় ২৯ হাজার কপি ছাপানো হয়েছিল এবং প্রায় দু’লাখের মতো পাঠক সে সময় ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি পাঠ করেছিল। মাসিক ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি আগে দিলেও সেটি ঐ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় মাঘ মাসে অথবা তারও পরে। তবে নজরুল সম্পাদিত ‘ধূমকেতু’তে ২২ আগস্ট ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ, মাসিক ‘বসুমতি’তে ১৩২৯ বঙ্গাব্দ, রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত মাসিক ‘প্রবাসী’তে মাঘ ১৩২৮ বঙ্গাব্দ, মাসিক ‘সাধনা’তে বৈশাখ ১৩২৯ বঙ্গাব্দে ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ছাপানো হয়েছিল। কবিতাটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়। কবির উদ্দীপ্ত বিদ্রোহী মনন, রুদ্ররূপ, বিদ্রোহী সত্তা এবং অসাধারণ শব্দবিন্যাস, অনুপ্রাস ও ছন্দ বাঙালির মানসপটে আজও দোলা দেয়- “চির উন্নত-শির”। সর্বপ্রথম ৬ জানুয়ারি ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ‘বিজলী’ পত্রিকায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রকাশিত হলে পরদিন ৭ জানুয়ারি সকালবেলা ‘বিজলী’ পত্রিকার চারটি কপি হাতে নিয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়া উপস্থিত হন। তেইশ বছরের টগবগে যুবক কবি নজরুল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্দেশ করে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিমায় চিৎকার করে বলছেন, “গুরুজি, আপনাকে হত্যা করব--গুরুজি, গুরুজি!”
মাত্রাবৃত্ত মুক্তক ছন্দের লিখিত ১১টি স্তবকবিশিষ্ট ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির ১৩৯টি পংক্তির প্রতিটি যেন লৌহবর্তের চলিষ্ণু রেলগাড়ির বগির মতো, পরম্পরাগত টান বা বন্ধনযুক্ত যা পঠনকালে পরবর্তী পংক্তির প্রতি অনসৃত আসক্তিতে পাঠক, আবৃত্তিকারের কণ্ঠে গতিময়তা লাভ করে। শুধু পংক্তির আন্তবন্ধনই নয়, ৮৬৮টি শব্দের মধ্যেও রয়েছে চমৎকার এক চুম্বকীয় আবেশ, অনুপ্রাস, ব্যঞ্জনা—যা পাঠক-শ্রোতাকে বিমুগ্ধ করে, উজ্জীবিত করে, দ্রোহদৃপ্ত করে, সমাজের অনিয়ম-অন্যায়-শোষণ-বঞ্চনার প্রতিরোধে বিদ্রোহীর পৌরুষঋদ্ধ এক অপ্রতিরোধ্য রূদ্রমূর্তিতে সম্মুখস্থ করে তোলে। আমিত্ববাচক ১৬০টি শব্দের মধ্যে ‘আমি’র উপস্থিতি ১৪৬ বার, যে আমি প্রকৃত পরমপুরুষকে আবিষ্কার করে অনন্ত-অসীমে পরিব্যাপ্ত পরমসত্যে লীন হয়ে কবিসত্তাকে প্রস্ফুটিত করেছে। তাই কবি পরুষোত্তমের মতোই নির্দ্বিধায় উচ্চারণ করতে পেরেছেন—
“আমি মৃন্ময়, আমি চিন্ময়,
আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়।
……………………….
জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পরুষোত্তম সত্য,”
এ অংশটুকু শ্রীমদ্ভগবদগীতার পঞ্চদশ অধ্যায়, পরুষোত্তম-যোগকে স্মরণ করিয়ে দেয়—“বিভর্ত্যব্যয় ঈশ্বরঃ (১৭ তম শ্লোকাংশ) ও ‘প্রথিতঃ পুরুষোত্তমঃ” (১৮তম শ্লোকাংশ)। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় শিল্পঋদ্ধ শব্দবিন্যাস, শব্দশৈলী, বাক-ব্যঞ্জনা, অলংকার-প্রজা, অসাম্প্রদায়িক চেতনাদীপ্র শব্দাহরণ এবং বিভিন্ন ধর্ম, ঐতিহ্য, ইতিহাস, পুরাণিকী কথা (myth), কিংবদন্তি লোকশ্রুতি, লোকবিশ্বাস থেকে উপকরণ উপাদান সমীকৃত করে আপন বিদ্রোহীসত্তার অবায়বে ছন্দ-মাধুর্যময় কাব্যিক গুণ পাঠকচিত্তকে আজও দ্রবীভূত করে। কবিতার শেষদিকে অত্যাচারী ও অত্যাচারের অবসান কামনায় বিদ্রোহী কবির উৎকণ্ঠ ঘোষণা—উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল যতোদিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে, ততোদিন কবির এই বিদ্রোহী সত্তা শান্ত হবে না। অভ্রভেদী চির উন্নত এই বিদ্রোহী চিরদিন শিবরূপে বিরাজ করবে।
‘বিদ্রোহী’ কবিতাটির প্রকাশ নজরুলকে স্বল্প সময়ের মধ্যে যশস্বী করে তুললেও কতিপয় নিন্দুক-সমালোচক তাঁকে উন্মাদগ্রস্ত, পাগল বলে অপবাদ দিয়েছে। সকল অপবাদ, প্রতিহিংসা অতিক্রম করে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও কবি নজরুল বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়ও প্রণিধানযোগ্য ও অপরিহার্য। বীররস-প্রধান ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটিতে উৎকীর্ণ হয়ে আছে প্রেম ও বিরহ রসের সংমিশ্রণে গড়া চমৎকার শব্দমূর্তি। ‘বিদ্রোহী’ পাঠে সৃষ্ট প্রাণনতা ও করুণাকাতর আবেগে দোলায়িত চিত্তে দুঃখ-জ্বালা-বঞ্চনা-ক্ষোভের সমান্তরালে প্রেম-বিরহের আর্তিতে বেজে ওঠে বীণানিন্দিত করুণ সুর—
……………………………….
……………………………….
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তার
কাঁকন-চড়ির কন্-কন্।”
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের কবল থেকে দেশমুক্তির ব্যাপক আন্দোলনে সারা ভারতবর্ষ যখন উত্তাল হয়ে ওঠে, এমন একটি সময়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী সত্তায় আবির্ভূত হয়ে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার প্রতিটি চরণজুড়ে উদ্দীপ্ত শব্দবাণে ও উপমার মাধ্যমে সমাজবিপ্লবের ডাক দিয়ে যান। সমাজের নিত্যদিনের অনিয়ম-অসমতা-অন্যায়ের বিরুদ্ধে এ কবিতায় কবির তীব্র ক্ষোভ পরিব্যক্ত। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকদের সুদীর্ঘকালের শাসন-শোষণ-জোরজুলুম-নিপীড়নে নিষ্পেষিত ভারতবর্ষের সাধারণ জনগণ অনেকটা ভীতিবিহ্বল হয়ে পড়ে, অনেকান্তে আত্মসচেতনতা হারিয়ে ফেলে। পক্ষান্তরে কিছু মানুষ যারা অন্যায়-অবিচারে অসহ্যবোধ করে তারাই দ্রোহী হয়ে ওঠে, প্রতিবাদ করে, হয়ে ওঠে আলোড়িত বিদ্রোহী। এরূপ এক কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
অধ্যাপক শিবনারায়ণ রায় বলেন, “সেই যুগের একটা ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছিল—যেটা হলো দেশের স্বাধীনতা সঙ্গে সমাজবিপ্লবকে মেলানো। স্বদেশী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন তারা সমাজবিপ্লবের কথা ভাবতেন না। কিন্তু এই বিপ্লব ছিল নজরুলের রক্তে।” শিব নারায়ণের মূল্যায়ণে—‘যারা সবকিছু ভেঙ্গে-চুরে নতুন করে গড়তে চাইছে তাদের প্রেরণার উৎস ছিল নজরুলের জ্বালাময়ী কবিতা—‘বিদ্রোহী’। এক হাজার বছরের বাংলাসাহিত্যে তাঁর মতো অসাম্প্রদায়িক কবি আর দেখা যায়নি। তাঁর পরিচয় ছিল মানুষ হিসেবে।”
‘বিদ্রোহী’ কবিতাতে দেখি, হিন্দু পুরাণ থেকে যেমন উপমা টেনেছেন, তেমনি ইসলামিক ইতিহাস থেকেও উপমা ব্যবহার করেছেন। আবার সচেতনভাবে ইউরোপীয় মিথও এনেছেন এ ‘বিদ্রোহী’তে। এ কবিতা নজরুলের বিদ্রোহী সত্তার কেন্দ্রবিন্দু শিব। শিবের বিচিত্র রূপে, ভিন্ন ভিন্ন নামে নজরুল তাঁর বিদ্রোহী মানসকে প্রকাশ করেছেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতায় বিভিন্ন মিথ-উৎস থেকে আহৃত যেসব উপমান পদের প্রতীকী ব্যঞ্জনায় কবি কাজী নজরুল বিদ্রোহী সত্তায় নিজেকে উপস্থাপন করেছেন, তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো—
*বিদ্রোহী ভৃগু: ভৃগু প্রাচীন সপ্তর্ষিদের অন্যতম। একবার মুনি-ঋষিরা ব্রহ্মা, শিব ও বিষ্ণুর মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ তা মীমাংসা করার জন্য ভৃগুর দ্বারস্থ হন। ভৃগু প্রথমে ব্রহ্মা ও পরে শিবের সাথে দেখা করেন এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের ক্ষেপিয়ে তোলেন। সবশেষে তিনি বিষ্ণুর সাথে দেখা করতে গিয়ে দেখেন, বিষ্ণু ঘুমাচ্ছেন। তখন তাকে জাগাতে ভৃগু বিষ্ণুর বুকে লাথি মারেন। ঘুম ভেঙ্গে বিষ্ণু ভৃগুর এই ধৃষ্টতায় রাগান্বিত না হয়ে বিনয় প্রদর্শন করেন। এজন্য ভৃগু বিষ্ণুকে শ্রেষ্ঠ বলে মীমাংসা করেন। সে থেকেই ভগবান শ্রীবিষ্ণু বা গোপালের বিগ্রহে ডানবক্ষে ভূগুমুনির চরণচিহ্ন দেয়া হয়।
*বোররাক: কুরআন-বর্ণিত দিব্যযান। কোথাও কোথাও একে অশ্ব হিসেবেও কল্পনা করা হয়েছে, যার দেহ অশ্বের, কিন্তু মুখমণ্ডল মানুষের। অত্যন্ত কমনীয়, প্রায় নারীর মতো। উপরন্তু বোররাকের মাথায় মুকুট।
১) কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’,
‘সঞ্চিতা’।
২) মহাভারত, রামায়ণ, বাংলাপিডিয়া,
উইকিপিডিয়া।
৩) ‘পদচিহ্ন সাহিত্য পত্রিকা’য়
প্রকাশিত বিষ্ণুপদ চৌধুরীর প্রবন্ধ।
৪) ‘বিদ্রোহী কবিতার আঁতুড়ঘর’ -সুব্রত
আচার্য, দ্য ডেইলি স্টার।
৫) কেমন ছিল নজরুল রবীন্দ্রনাথের
সম্পর্ক? আসাদ জামান, sarabangla.net/
৬) নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতায়
মাইথোলজির প্রয়োগ -প্রবীর চ্যাটার্জী, ভোরের পাখি।
৭) বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান
৯)
bangala wave
১০)
BBC News/বাংলা
১২) KAZI NAZRUL ISLAM -the voice of poetry......wholeness. -Winston E. Langley.
১৩)
KAZI NAZRUL ISLAM-selected works. Translated from
Bengali by Sajed Kamal.
১৪)
samakal.com
ই-মেইল: ssdebnath1955@gmail.com